সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারতের কিছু রহস্যময় ঘটনা জানেন কি?

  ভারতের কিছু রহস্যময় ঘটনা জানেন কি? ভারতের কিছু রহস্যময় ঘটনা - ১. কুলধারার অভিশাপ– জয়সলমীর থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে কূলধারা একটি অভিশপ্ত গ্রাম মনে করা হয়। এখানে প্রায় ১২৯১ জন লোক বসবাস করত এবং প্রায় ৮৪ টি গ্রামের সমন্বয় ছিল। কিন্তু সমস্ত জনবসতি মাত্র একটি রাতের মধ্যে এই জায়গা পরিত্যাগ করে, কারণ কোন শয়তানী শক্তি তাদের এই জায়গা পরিত্যাগ করতে বলেছিল বলা হয়। যারা থেকে গেছিল, তাদের ভয়ঙ্কর ভাবে মৃত্যু হয়েছিল। ২. লালবাহাদুর শাস্ত্রীর অদ্ভুত ও আকস্মিক মৃত্যু — বিভিন্ন রিপোর্ট ও লোকজন এখনো জানেন কার্ডিয়াক অ্যাটাকের ফলে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু হয়। আগেও তাঁর তিনবার কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী বলেছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর কখনোই হার্টের প্রবলেম তখন ছিল না এবং তিনি মারা যাবার পরে শাস্ত্রীজির শরীরে প্রচুর নীল দাগ দেখা যায় যা তীব্র বিষক্রিয়ার প্রমাণ। ৩. ইন্দাস ভ্যালির আকস্মিক পতনের কারণ– ইন্দাস ভ্যালি তার সময়ের অত্যন্ত আধুনিক ও উন্নত একটি সভ্যতা ছিল। আর সেই সময়ের সকল আবিষ্কার এতটাই আধুনিক ছিল যে পৃথিবীর অন্যান্য সভ্যতার থেকে এই সভ্যতা বহুলাংশে উন্নত ছিল। কেন এই সভ্যতা হঠাৎ ধ্বংস হল ...

জানেন কি, ভারতের মধ্যেই আছে ছোট্ট এক টুকরো ইসরায়েল?

দু টুকরোও বলা যায়, দুটিই হিমাচল প্রদেশে। একটি হল কাংড়া জেলার ধরমকোট ওরফে তেল আভিভ অব দ্য হিলস। অন্যটি হল কুলু জেলার কসোল ওরফে মিনি ইজরায়েল! কসোল ইজরায়েলএর তরুণদের কাছে, বিশেষত তাদের আবশ্যিক ২ বছরের সেনাবাহিনীর ডিউটি শেষ করার পর ভারত, এবং বিশেষত হিমাচল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গন্তব্য। প্রায় ১৫০০ ইজরায়েলি কুলুতেই থাকেন, শীত এলে গোয়া যান 😌। ধরমকোট বা কসোলের স্থানীয় বাসিন্দারা এই পর্যটকদের নিয়ে খুশি কারণ এঁরা ঝামেলা করে না, এঁদের কারণে গ্রামের চেহারা পাল্টে গেছে, ক্যাফে, রেঁস্তোরা, দোকান খুলেছে। এখানকার অনেক লোকাল লোক আবার হিব্রু শিখে গেছেন, দিব্যি কাজ চলে। ধরমশালা শহরের স্থানীয়রা ইজরায়েলি নববর্ষ রোশ হাসানা উপলক্ষ্যে ভোজের আয়োজন করেন সবার জন্যে। হিমাচলী এঁরা অনেকেই হিমালয়ের কোলে আধ্যাত্মিকতা খুঁজতে আসেন, কেউ শান্তির আশায়, কেউ আশ্চর্য মনোরম পরিবেশের জন্যে, এ ছাড়া মালানা ক্রিম প্রেমিরা তো আছেনই 🤣 (বিশদে জানতে পার্বতী ভ্যালি ইত্যাদি বিষয়ে খুঁজে দেখুন)। তবে ছবির মত সুন্দর এই ছোট্ট শহরগুলিতে বিদেশীদের আনাগোনা ভালই লাগে। যদি নিজেদের দেশে এঁরা আমাদের সম্পর্কে ভাল ধারণা নিয়ে ফেরত যায়, তাতে আমাদের...

ভারত কি কখনো বাংলাদেশ দখল করবে??

  ভারত কি কখনো বাংলাদেশ দখল করবে?? যুদ্ধ কিংবা রাষ্ট্র দখলের মূল উদ্দেশ্যই থাকে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন। রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে সামরিক বিজয়ে লাভ নেই। যেমন : ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল - " চীন প্রভাবিত কমিউনিস্ট সরকারের পুরোপুরি পতন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত সরকারকে ক্ষমতায় বসানো " যুদ্ধে মার্কিনীরা সামরিক বিজয়ে এগিয়ে থাকলেও রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। বিধায় ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিনীরা কৌশলগত ভাবে পরাজিত... একইভাবে, আফগানিস্তান যুদ্ধে মার্কিনীদের রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল - "তালেবান সরকারকে পুরোপুরি পতন করে মার্কিন অনুগত নর্দান এলায়েন্সকে কিংবা অন্যকোন শক্তিকে পুরো আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসানো " কিন্তু তালেবানকে পুরোপুরি পতন করানো যায়নি, ৬০-৭০ % ভূমি এখনো তাদের দখলে। এই সময়ে এসে মার্কিনীরা চাচ্ছে পাকিস্তানের মধ্যস্থতায় তালেবানদের সাথে চুক্তি করে চ্যাপ্টার ক্লজ করতে। এই চুক্তিটাই এখন মার্কিনীদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের কৌশল..... এরআগে আসি, ইংরেজ শাসনের পর্যালোচনায়.. ১৭৫০ এর দিকে ইংরেজদের সাথে ফরাসি, ডাচ, পর্তুগীজ ও স্পেনীশদের...

জোকারের হাতে যখন দেশের হাল

  জোকারের হাতে যখন দেশের হাল আপনি যদি একটি জোকারকে সিংহাসনে বসান তবে দেশের তো করুন অবস্থা হবেই । ইউক্রেনের উচিত ছিল রাশিয়া যখন সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছিল তখন যুদ্ধের প্রস্তুতি না নিয়ে যতটা দ্রুত সম্ভব মীমাংসা করা । কিন্তু জেলেন্স্কি ধরে রেখেছিল আমেরিকা তার জন্য নৌবহর , বিমান বাহিনী , সেনা পাঠাবে । মূর্খ জেলার জেলেন্স্কির দূরদর্শিতা এতই কম যে, সে বিশ্বাস করেছিল যুদ্ধই একমাত্র সমাধান। অন্যদিকে দক্ষ কূটনৈতিক পুতিন ঝোপ বুঝে কোপ মেরে দেয় । অভ্যন্তরীণ মীমাংসার একটি ভালো উদাহরণ গতবারের ভারত-চীন বিবাদ । যদিও এই ঘটনা বেশিদূর অগ্রসর হতো না তবুও দুটি দেশ খুব শান্তিপূর্ণ ভাবেই দ্বিপাক্ষিক মীমাংসা করে ফেলে । আপনি যদি বাঘের খাঁচায় ঢুকে মারামারি করার চিন্তা করেন তবে আপনি আসলে একটা জোকার । আপনার উচিত পালানোর পথ খোজা । যতদিন যাবে রাশিয়া মীমাংসার ক্ষেত্রে তত দাবি-দাওয়া বাড়াবে । তাই জোকারেস্কির উচিত মানুষের জীবন বাঁচাতে একটা মীমাংসায় যেভাবে হোক পৌঁছানো । কিন্তু সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্যের আশায় এখনো বসে আছে কিন্তু এই ইইউ যে অনেকাংশেই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল । যারাই আমেরিকার সাথে হাত মিলিয়েছ...

৪১ দিনের পরীক্ষামূলক ফারাক্কা বাঁধ চালু ৫০ বছর পার হয়ে গিয়েছে!

  বাংলাদেশের রাজশাহী সীমান্তের ১৬.৫ কিলোমিটার দূরে, ভারতের ফারাক্কা গঙ্গা নদীর উপর নির্মিত এ বাঁধের বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে, দীর্ঘ ৫ দশকে গঙ্গার জল অনেক দূর গড়িয়েছে। গঙ্গার পানি কতটা ভারত আর কতটা বাংলাদেশে তার পেয়েছে তার হিসাব কষার প্রয়োজন অপ্রাসঙ্গিক। কারণ ফারাক্কা বাঁধ শুধু বাংলাদেশের উপরই বিপর্যয় ডেকে আনেনি, ভারতেও এর দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব প্রতক্ষ্য করতে শুরু করেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ফারাক্কা ইস্যতে সচ্চার ছিলো, এখন এর সাথে যোগ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও মুর্শিদাবাদে বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের স্বীকার লাখো মানুষের দূর্ভোগ। উত্তর প্রদেশের বিহারের বন্য কবলিত মানুষরাও দুষছেন ফারাক্কা বাঁধকে। ফারাক্কা বাঁধ ফেঙ্গে ফেলার দাবী জোরালো হচ্ছে ক্রমশ। ফারাক্কা সমস্যার সূত্রপাত ঘটে পঞ্চাশের দশকের গোড়ার দিকে। কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির অজুহাতে ভারত ১৯৫৬ সালে এই প্রকল্প হাতে নেয়। নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগের খবর জেনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। পরিবেশগত বিপর্যয়ের পাশাপাশি গঙ্গা নদীর প্রবাহ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কাও সম্প্রতি চিন্তিত করে চলেছেন বিশেষজ...

বাংলায় এসেছিলেন বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারা

  হ্যা বিস্ময়কর মনে হলেও এই তথ্য এখন সত্য। বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য প্রমাণ নথি ঘেটে সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে বিপ্লবের এই মহানায়ক হেঁটেছিলেন বাংলাদেশের পথেও। পরিচয় গোপন রেখে কথা বলেছেন শ্রমিকদের সাথে। বাংলাদেশের পাটকল ঘুরে দেখেছেন তিনি। রাজনৈতিক দীক্ষা, বিপ্লবী রাজনীতিকে ছড়িয়ে দেয়া, বিশ্বজুড়ে সমাজতন্ত্রের লড়াইকে বেগবান করতেই কিউবামুক্ত করা এই সফল বিপ্লবী ছড়িয়ে পরে স্পিলিন্টারের মতো আঘাত করতে চেয়েছিলেন পূজিবাদীদের শোষনের দূর্গে। তাই তিনি নানা ভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ১৯৫৯ সালে কিউবার হয়ে এশিয়ার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ সফরে বের হয়েছিলেন চেগুয়েভারা। ৩মাসের সেই সফরে ঘুরতে ঘুরতে জুলাই মাসে এসেছিলেন বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান)। তিনি বাংলাদেশে আদমজী পাটকলে শ্রমিকদের সাথে মত বিনিময় করেন। তবে সেই সব শ্রমিকরা জানতো না তিনি আসলে কে। বাংলাদেশে চে গুয়েভারার সাথে স্বাক্ষাতের দাবি করা শ্রমিক নেতা ছায়দুল হক ছাদু সেই ঘটনার বর্ণনা দেন। এক সময় শ্রমিক নেতা হয়ে ওঠা ছায়দুল হক ছাদু ১৯৫৯ সালে ছিলেন সাধারন শ্রমিক। পরবর্তীতে তিনি আদমজী জুট মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হন। সেই শ্রমি...

ভারতে কি ভবিষ্যতে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

  ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশে পরিণত হবে ভারত। মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পিউ রিসার্চের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে খ্রিষ্টান ধর্মের পর ইসলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্মও ইসলাম এবং বর্তমানের এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে চলতি শতাব্দীর শেষের দিকে খ্রিষ্টান ধর্মকে ছাড়িয়ে যাবে ইসলাম। পিউ রিসার্চ বলছে, ২০১০ সালে বিশ্বে মুসলিম জনগোষ্ঠীর পরিমাণ ছিল ১৬০ কোটি; যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। এর আগে ২০১৫ সালে পিউ রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দশকে বিশ্বে জনসংখ্যা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হলেও মুসলিম জনসংখ্যা বাড়বে ৭৩ শতাংশ। এর ফলে বিশ্বে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৮০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানায়, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে মুসলিমদের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়বে। এই গবেষণা প্...

কলম্বাসের বর্ণনা থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রহস্যময় জলপরীর (mermaid) প্রমান পাওয়া গেছে, এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?

  9 জানুয়ারী ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর সবচেয়ে মহান অনুসন্ধানকারীর মধ্য একজন খ্রিস্টোফার কলম্বাস, তার ডাইরিতে Mermaid-র কথা উল্লেখ করেন, যা পুরো পৃথিবীকে হয়রান করে দিয়েছে। কলম্বাস তার ডাইরিতে ভ্রমণের সমস্ত কাহিনী লিখতেন, কিন্তু তার মতে ৯ জানুয়ারী ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে (ডোমিনিকান রিপাবলিক থেকে ফেরার সময়) সাগরের মধ্য ৩ মার্মিডকে সাঁতার কাটতে দেখেছেন। তার বর্ণনা অনুসারে ৩ জীব জলের উপর ধীরে ধীরে সাঁতার কাটছে , তাদের নিচের শরীর মাছের লেজের মতো আর উপরে এক মানষের মতো। কিন্তু তিনি এটাও বলেছেন যেমনটা ইতিহাস মার্মিডকে বর্ণনা (সুন্দরী মস্যকন্যা) করেছে এটা ঠিক তার বিপরীত, একদম দানবের মতো দেখতে। শরীর অনেক ভয়ানক। কলম্বাস এক মহান অনুসন্ধানকারী ছিলেন যিনি আমেরিকার মতন এক মহাদ্বীপের খোঁজ করেছেন। যার জন্য তার এই ডাইরির বর্ণনাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন কলোম্বাস হয়তো কিছু জীবকে দেখেছেন কিন্তু ওটা মার্মিড ছিল না, হয়তো জলের ভিতর বসবাসকারী ম্যামলস মন্টিস হতে পারে। মন্টিসের চোখ মানুষের মতো দেখতে, লেজ ঠিক মার্মিড-র মতো দেখতে জীবের মতো। যদি এই সামুদ্রিক জীবকে যদি দূর থেকে দেখা ...

বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট এবং গোপন করা একটি ঘটনা।

 "ভূষনছড়া গনহত্যা" পার্বত্য এলাকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যা। ১৯৮৪ সালের ৩১ শে মে তৎকালীন শান্তিবাহিনী’র নৃশংস গণহত্যার শিকার হন রাঙামাটির দুর্গম ভূষণছড়া এলাকার ৪০০ এর বেশি বাঙালি। ৩১ শে মে, ১৯৮৪ আনুমানিক ভোর ৪টা। তখন ছিলো রমজান মাস। রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলার, ভূষণছড়া গ্রামের সাধারণ নিরীহ মানুষ সেহরি খেয়ে ঘুমের প্রস্তুতি নিতেছে। কিন্তু তারা বুজতেও পারে নি তাদের সাথে ঘটতে যাচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম নিকৃষ্ট এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা। রমজান মাস, সেহরি খেয়ে কেউ ঘুমিয়েছে বা ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই 'পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি' এবং এর সশস্ত্র সামরিক শাখা শান্তিবাহিনীর ১২৫-১৫০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী আক্রমণ করে তাদের উপরে। আগ্নেয়াস্ত্র, বেয়নেট, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ঘর-বাড়িতে।ঘুমের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় অনেক পরিবার। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি। ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে নারী-শিশুসহ সাড়ে চারশর বেশি নিরীহ বাঙালিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। গর্ভবর্তী নারী,ছোট শিশু,বৃদ্ধ ...