ভারতের কিছু রহস্যময় ঘটনা জানেন কি?
ভারতের কিছু রহস্যময় ঘটনা -
১. কুলধারার অভিশাপ–
জয়সলমীর থেকে মাত্র ১৫ কিমি দূরে কূলধারা একটি অভিশপ্ত গ্রাম মনে করা হয়। এখানে প্রায় ১২৯১ জন লোক বসবাস করত এবং প্রায় ৮৪ টি গ্রামের সমন্বয় ছিল। কিন্তু সমস্ত জনবসতি মাত্র একটি রাতের মধ্যে এই জায়গা পরিত্যাগ করে, কারণ কোন শয়তানী শক্তি তাদের এই জায়গা পরিত্যাগ করতে বলেছিল বলা হয়। যারা থেকে গেছিল, তাদের ভয়ঙ্কর ভাবে মৃত্যু হয়েছিল।
৩. ইন্দাস ভ্যালির আকস্মিক পতনের কারণ–
ইন্দাস ভ্যালি তার সময়ের অত্যন্ত আধুনিক ও উন্নত একটি সভ্যতা ছিল। আর সেই সময়ের সকল আবিষ্কার এতটাই আধুনিক ছিল যে পৃথিবীর অন্যান্য সভ্যতার থেকে এই সভ্যতা বহুলাংশে উন্নত ছিল। কেন এই সভ্যতা হঠাৎ ধ্বংস হল বলা যায় না। কেউ বলে এই সভ্যতার পতনের মূলে ছিল আর্যদের আক্রমণ। কিন্ত তার সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে এবং কেউ জানে না, কেন এই সভ্যতা হঠাৎ কালের অন্ধকারে তলিয়ে গেল।
৪. সুভাষ চন্দ্র বোস এর উধাও রহস্য–
৫. সিকিমের ভৌতিক সৈনিক–
পূর্ব সিকিমে এক ভারতীয় সৈনিক নাথুলা পাসের কাছে মারা যান যার নাম বাবা হরভজন সিং। সৈনিকদের মতে যখন নাথুলা পাসের অধিক উচ্চতায় সৈনিকরা তার নাম ধরে ডাকে, তখন আর্মির লোকেদের বাঁচানোর জন্য এই মৃত সৈনিক আবির্ভূত হন। এখানে এরকম প্রচুর ঘটনা ঘটেছিল যার জন্য হরভজন সিং লোকমুখে বিখ্যাত হয়ে গেছেন। সৈনিকরা এখানে এই মৃত সৈনিকের স্মৃতিতে সৌধ অবধি নির্মাণ করেছে।
৬. তাজমহল নাকি তেজোমহালয়া ? —
একটি বইতে লেখক পি. কে. ওক লিখেছেন কিভাবে মুঘল সম্রাট শাহজাহান জয়পুরের রাজার থেকে বলপ্রয়োগ করে তেজোমহালয়া গ্রহণ করেন এবং তারপর সেটির নতুন নামকরণ করেন তাজমহল। লেখক বেশ কিছু তথ্য তাঁর বক্তব্যর সমর্থনে পেশ করেন। যে সকল কারিগর ও শ্রমিক এই তাজমহল তৈরী করেছিল, তাদের মৃত্যুর ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয়েছিল।
৭. হিমালয়ের ইয়েতি–
সমস্ত পৃথিবীতে দুই ধরণের লোক আছে, যাদের মধ্যে একদল বিশ্বাস করে ইয়েতি আছে, আরেকদল ইয়েতির অস্তিত্ব মানতে চায় না। যাই হোক, হিমালয়ের কোলে ভারত, নেপাল ও ভুটানে ইয়েতি আছে বলে মনে করা হয়। কেউ কেউ বলেন এটা অত্যন্ত হিংস্র প্রাণী, আবার কেউ কেউ বলেন এটি মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্যকারী একটি পরোপকারী প্রাণী। এটি এখনো রহস্যপূর্ণ এবং ইয়েতির খোঁজ এখনো চলছে।
৮. প্রহ্লাদ জানির বেঁচে থাকার রহস্য —
মাতা অম্বার একজন বিরাট বড় ভক্ত এই প্রহ্লাদ জানি একজন ভারতীয় সাধক। দাবী করা হয়, বিগত ৭০ বছর তিনি কিছু না খেয়ে বেঁচে আছেন। এর সত্যতা যাচাই করার জন্য তাঁর ওপরে পনেরো দিন নজরদারি করা হয়। সবাইকে অত্যন্ত অবাক করে দিয়ে তিনি পনেরো দিন কিছুই না খেয়ে বা জলপান না করে দিব্যি বেঁচে থাকেন। তাঁর শরীরে খাদ্যাভাব জনিত কোন অসুবিধা দেখা যায়নি। কোন বৈজ্ঞানিকও তাঁর এই অদ্ভুত ক্ষমতার কোন হদিস করতে পারেন নি।
৯. সম্রাট অশোকের গুপ্ত সংঘ–
এরকম বলা হয় যে সম্রাট অশোকের একটি গুপ্ত সংঘ ছিল যাতে নয়জন অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও উচৃচ জ্ঞানবান ব্যক্তি ছিল। তাদের কাছে মনুষ্য সমাজের ক্ষতিকারক গোপন তথ্য রক্ষিত ছিল। তাঁদের প্রত্যেকের গুপ্তবিদ্যা ছিল যা তাঁরা এক একটি বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এই সকল বইগুলি অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। মনে করা হয়, এই বইগুলি পরবর্তী কালে হাতবদল হয়েছিল কিন্তু কার কাছে এবং কোথায় বা কিভাবে তা এখনো রহস্যই থেকে গেছে।
১০. যোধপুরের রহস্যময় সোনিক বুম–
সোনিক বুম তখনই তৈরী হয় যখন কোনকিছু তীব্র শব্দ করে দ্রুতবেগে একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় ধাবিত হয়। এই কারণেই কোন এরোপ্লেন কোন জনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না। ২০১২ সালের ১৮ ই ডিসেম্বর, একটি সোনিক বুম যোধপুরের ওপর তীব্রভাবে ধাবিত হয়। কেউ এখনো অবধি এর কারণ খুঁজে পায়নি কারণ, ন্যাশনাল আর্মি বা অন্য কেউই ওই সময় যোধপুরে কোনরকম কিছু পারফর্ম করার কথা স্বীকার করেনি যাতে ওইরকম তীব্র আওয়াজ ও গতিসম্পর্ক সোনিক বুম সৃষ্টি হতে পারে।




মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন