জোকারের হাতে যখন দেশের হাল
আপনি যদি একটি জোকারকে সিংহাসনে বসান তবে দেশের তো করুন অবস্থা হবেই । ইউক্রেনের উচিত ছিল রাশিয়া যখন সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছিল তখন যুদ্ধের প্রস্তুতি না নিয়ে যতটা দ্রুত সম্ভব মীমাংসা করা । কিন্তু জেলেন্স্কি ধরে রেখেছিল আমেরিকা তার জন্য নৌবহর , বিমান বাহিনী , সেনা পাঠাবে । মূর্খ জেলার জেলেন্স্কির দূরদর্শিতা এতই কম যে, সে বিশ্বাস করেছিল যুদ্ধই একমাত্র সমাধান। অন্যদিকে দক্ষ কূটনৈতিক পুতিন ঝোপ বুঝে কোপ মেরে দেয় ।
অভ্যন্তরীণ মীমাংসার একটি ভালো উদাহরণ গতবারের ভারত-চীন বিবাদ । যদিও এই ঘটনা বেশিদূর অগ্রসর হতো না তবুও দুটি দেশ খুব শান্তিপূর্ণ ভাবেই দ্বিপাক্ষিক মীমাংসা করে ফেলে ।
আপনি যদি বাঘের খাঁচায় ঢুকে মারামারি করার চিন্তা করেন তবে আপনি আসলে একটা জোকার । আপনার উচিত পালানোর পথ খোজা । যতদিন যাবে রাশিয়া মীমাংসার ক্ষেত্রে তত দাবি-দাওয়া বাড়াবে । তাই জোকারেস্কির উচিত মানুষের জীবন বাঁচাতে একটা মীমাংসায় যেভাবে হোক পৌঁছানো । কিন্তু সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্যের আশায় এখনো বসে আছে কিন্তু এই ইইউ যে অনেকাংশেই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ।
যারাই আমেরিকার সাথে হাত মিলিয়েছে তাদেরই শনির দশা হয়েছে । এর অন্যতম সুন্দর উদাহরণ পাকিস্তান, বাশার-আল-আসাদ সরকার এবং অন্যান্য । ১৯৭১ এ আমেরিকার নৌবহরের আশায় থেকে পাকিস্তান ইতিহাসে সবচেয়ে চমৎকার মাড়া খেয়েছে ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন