সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পরিবেশগত মনোবিজ্ঞান কী এবং এটি কীভাবে আমাদের প্রভাবিত করে?

 পরিবেশগত মনোবিজ্ঞান (Environmental Psychology) হলো মনোবিজ্ঞানের একটি শাখা, যা অধ্যয়ন করে আমাদের চারপাশের পরিবেশ—প্রকৃতি, শহর, বাড়ি—কীভাবে আমাদের চিন্তা, আবেগ এবং আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে। এটা মানুষ এবং পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক বোঝার চেষ্টা করে।

পরিবেশগত মনোবিজ্ঞানের মূল বিষয়:

১. প্রাকৃতিক পরিবেশ:

  • প্রকৃতি আমাদের মন শান্ত করে।
  • উদাহরণ: গাছপালার মধ্যে হাঁটলে চাপ কমে।

২. মানব-নির্মিত পরিবেশ:

  • শহর, অফিস, বাড়ির গঠন আমাদের মেজাজ বদলায়।
  • উদাহরণ: ভিড়ের জায়গায় উদ্বেগ বাড়তে পারে।

৩. স্থানের প্রভাব:

  • কোনো জায়গা আমাদের কীভাবে অনুভব করায়।
  • উদাহরণ: উজ্জ্বল রঙের ঘরে আনন্দ বেশি হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:

  • বায়োফিলিয়া (Biophilia): মানুষের প্রকৃতির প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ। গবেষণা বলে, প্রকৃতির কাছে থাকলে আমরা সুস্থ থাকি।
  • জনসংখ্যার ঘনত্ব (Crowding): বেশি ভিড়ে মানসিক চাপ বাড়ে।
  • পরিবেশগত চাপ (Environmental Stress): শব্দ, দূষণ আমাদের অসুস্থ করতে পারে।

একটি উদাহরণ:

ধরুন, আপনি শহরে থাকেন যেখানে সবসময় শব্দ আর ভিড়। আপনার মন অশান্ত থাকে। কিন্তু একদিন গ্রামে গিয়ে নদীর ধারে বসলে শান্তি পান। এটা পরিবেশের প্রভাব।

কীভাবে ব্যবহার হয়?

  • শহর পরিকল্পনা: পার্ক, সবুজ জায়গা তৈরি করে মানুষের জীবন ভালো করা।
  • কর্মক্ষেত্র: অফিসে আলো, রঙ ব্যবহার করে কাজের মান বাড়ানো।
  • পরিবেশ সংরক্ষণ: মানুষকে প্রকৃতি রক্ষায় উৎসাহ দেওয়া।

কেন পরিবেশগত মনোবিজ্ঞান জানা দরকার?

  • আমাদের জীবনের জায়গা কীভাবে মনের ওপর কাজ করে, তা বুঝতে।
  • মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সঠিক পরিবেশ বেছে নিতে।
  • প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক রক্ষায় সাহায্য করে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কলম্বাসের বর্ণনা থেকে শুরু করে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রহস্যময় জলপরীর (mermaid) প্রমান পাওয়া গেছে, এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?

  9 জানুয়ারী ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর সবচেয়ে মহান অনুসন্ধানকারীর মধ্য একজন খ্রিস্টোফার কলম্বাস, তার ডাইরিতে Mermaid-র কথা উল্লেখ করেন, যা পুরো পৃথিবীকে হয়রান করে দিয়েছে। কলম্বাস তার ডাইরিতে ভ্রমণের সমস্ত কাহিনী লিখতেন, কিন্তু তার মতে ৯ জানুয়ারী ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে (ডোমিনিকান রিপাবলিক থেকে ফেরার সময়) সাগরের মধ্য ৩ মার্মিডকে সাঁতার কাটতে দেখেছেন। তার বর্ণনা অনুসারে ৩ জীব জলের উপর ধীরে ধীরে সাঁতার কাটছে , তাদের নিচের শরীর মাছের লেজের মতো আর উপরে এক মানষের মতো। কিন্তু তিনি এটাও বলেছেন যেমনটা ইতিহাস মার্মিডকে বর্ণনা (সুন্দরী মস্যকন্যা) করেছে এটা ঠিক তার বিপরীত, একদম দানবের মতো দেখতে। শরীর অনেক ভয়ানক। কলম্বাস এক মহান অনুসন্ধানকারী ছিলেন যিনি আমেরিকার মতন এক মহাদ্বীপের খোঁজ করেছেন। যার জন্য তার এই ডাইরির বর্ণনাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন কলোম্বাস হয়তো কিছু জীবকে দেখেছেন কিন্তু ওটা মার্মিড ছিল না, হয়তো জলের ভিতর বসবাসকারী ম্যামলস মন্টিস হতে পারে। মন্টিসের চোখ মানুষের মতো দেখতে, লেজ ঠিক মার্মিড-র মতো দেখতে জীবের মতো। যদি এই সামুদ্রিক জীবকে যদি দূর থেকে দেখা ...

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পদার্থের নাম কী এবং এটি কি কাজে ব্যবহৃত হয় ?

Periodic Tableএর শেষে যে পদার্থগুলো দেখতে পাওয়া যায়, তা সবগুলই দামি। এর কারণ হলো, ওই পদার্থগুলো মনুষ্য-তৈরি বা man-made। আবার ওগুলো তৈরি করতে যে পরিমান শ্রম, সময়, অর্থ ব্যয় করতে হয় সেই তুলনাই তারা অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এরা এতটাই ক্ষণস্থায়ী যে, রসায়নবিদরাই এদের উপর ভালো ভাবে পরিক্ষা নিরীক্ষা চালাতে পারে না। যা হোক। ওগুলো বাদ দিয়ে যদি বলেন যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় এমন উপাদানগুলোর মাঝে সবচেয়ে দামি কোনটা, তাহলে নিঃসন্দেহে সেটা হবে  ফ্রান্সিয়াম(Francium)।  Periodic Table এর  Group 1, Period 7 এর 87 Atomic Number  বিশিষ্ট মৌলটি হলো ফ্রান্সিয়াম। প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া গেলেও এর স্থায়িত্ব এত কম যে এদের দাম  গ্রামপ্রতি ১০০ কোটি মার্কিন ডলার  নির্ধারণ করতেও কার্পণ্য করেনি বিজ্ঞানিরা। এটি তেজষ্ক্রিয়এবং এর অর্ধায়ুকাল কেবল ২২ মিনিট। এটি এতটাই ক্ষণস্থায়ী যে এটিকে কখনোই ১ গ্রাম পাওয়া যায়নি। এমনকি এটি কে তৈরি করেও না। ফ্রান্সিয়াম এত ক্ষণস্থায়ী হওয়ার দরুন ফ্রান্সিয়ামকে কোন কাজে লাগানো হয় না। এখন যদি বলেন, ভাই, এমন কোন পদার্থ এর নাম বলুন যা ক্ষণস্থায়ী নয়, যা আপনি আমি সবাই দেখতে...

জীবনের পাঠ মানুষ খুব দেরিতে শেখে || jiboner part manus khob dare te sekhe

জীবনের পাঠ মানুষ খুব দেরিতে শেখে আমাদের জীবনে এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যা আমাদেরকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয় এবং আমাদের ব্যক্তিত্বকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেয়। ঠিক তেমনি কিছু জিনিস আছে যা আমরা সময়মতো শিখি না, এবং যখন আমরা বুঝতে পারি, সময় চলে গেছে এবং আমরা অনেক কষ্ট পাই। এখানে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি যেগুলো যদি সময়মতো শেখা যায় তাহলে আমাদেরকে কষ্ট থেকে বাঁচাতে পারে। 1- সবকিছুই অস্থায়ী আপনাকে প্রথম যে জিনিসটি শিখতে হবে তা হল যে ব্যক্তিত্ব বা আশীর্বাদ আপনার জীবনে স্থায়ী নয়। যখন আপনি এটি বুঝতে পারেন, আপনি মানুষকে আপনার জীবনে থাকতে বাধ্য করা বন্ধ করেন এবং যে ব্যক্তিকে ছেড়ে যেতে চায় তাকে ছেড়ে চলে যান, আপনি আর কোনো সম্পর্ককে জোর করবেন না। এটি আপনাকে মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী করে তোলে কারণ আপনি যখন মানুষকে আপনার জীবনে থাকতে বাধ্য করা বন্ধ করেন তখন অন্য কেউ আপনাকে সুখী বা দুঃখ দিতে পারে না। তুমি তোমার সুখ দুঃখের একমাত্র কারণ হয়ে যাও। সংক্ষেপে, আপনি একজন অটোফাইল হয়ে যান। 2- জীবন ন্যায্য নয় দ্বিতীয়ত, আপনাকে শোষণ করতে হবে যে কাউকে একটি নিখুঁত জীবন দেওয়া হয় না, আপন...