ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞান (Clinical Psychology) হলো মনোবিজ্ঞানের একটি শাখা, যা মানসিক সমস্যা, আবেগের অসুবিধা এবং আচরণের ব্যাধি বোঝা, নির্ণয় করা এবং চিকিৎসা করার ওপর কাজ করে। এটার লক্ষ্য মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করা।
ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞান কী নিয়ে কাজ করে?
১. মানসিক সমস্যা:
- উদ্বেগ (Anxiety), হতাশা (Depression), ফোবিয়া (Phobias)।
- উদাহরণ: কেউ যদি সবসময় চিন্তায় থাকে, এটা উদ্বেগ হতে পারে।
২. আচরণের সমস্যা:
- আসক্তি (Addiction), খাওয়ার ব্যাধি (Eating Disorders)।
- উদাহরণ: কেউ যদি অতিরিক্ত মদ খায়, তাকে সাহায্য করা।
৩. গুরুতর রোগ:
- সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডার।
- উদাহরণ: বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করা।
কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
- সাক্ষাৎকার: রোগীর সাথে কথা বলে সমস্যা বোঝা।
- পরীক্ষা: প্রশ্নপত্র বা মানসিক পরীক্ষা।
- পর্যবেক্ষণ: আচরণ লক্ষ্য করা।
চিকিৎসার উপায়:
১. থেরাপি (Therapy):
- জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি (CBT): নেতিবাচক চিন্তা বদলানো।
- কথোপকথন থেরাপি: সমস্যা নিয়ে কথা বলে সমাধান খোঁজা।
- উদাহরণ: ভয় কাটাতে ধীরে ধীরে সমস্যার মুখোমুখি হওয়া।
২. ওষুধ:
- ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ, যেমন হতাশার জন্য এন্টিডিপ্রেসেন্ট।
৩. জীবনধারা পরিবর্তন:
- ঘুম, খাওয়া, আর ব্যায়ামের পরামর্শ।
একটি উদাহরণ:
ধরুন, কেউ সবসময় দুঃখী, কিছুতে আগ্রহ পায় না। ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞানী তার সাথে কথা বলে বোঝেন এটা হতাশা। তারপর থেরাপি দিয়ে তাকে ইতিবাচক চিন্তা শেখানো হয়।
কেন ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞান জানা দরকার?
- মানসিক সমস্যা চিনতে এবং সাহায্য চাইতে শেখায়।
- নিজের বা অন্যের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সাহায্য করে।
- জীবনের মান ভালো করে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন