ব্যক্তিত্ব (Personality) হলো একজন মানুষের চিন্তা, আবেগ এবং আচরণের একটি অনন্য ধরন, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। এটা আমাদের "কেমন" করে তোলে। মনোবিজ্ঞানে ব্যক্তিত্বকে বোঝার জন্য অনেক তত্ত্ব আছে।
ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য:
- স্থায়িত্ব: ব্যক্তিত্ব সাধারণত সময়ের সাথে খুব বেশি বদলায় না।
- অনন্যতা: প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব আলাদা, এমনকি যমজদেরও।
- প্রভাব: এটা আমাদের কাজ, সম্পর্ক এবং জীবনের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।
বিখ্যাত তত্ত্ব: "বিগ ফাইভ" মডেল
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ব্যক্তিত্বকে পাঁচটি মূল বৈশিষ্ট্য দিয়ে বোঝা যায়: ১. উন্মুক্ততা (Openness): নতুন জিনিস চেষ্টা করতে ভালোবাসা। যেমন, ভ্রমণ বা শিল্প। ২. দায়িত্ববোধ (Conscientiousness): সংগঠিত এবং পরিকল্পনা করে কাজ করা। ৩. বহির্মুখিতা (Extraversion): মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করা, বেশি কথা বলা। ৪. সহমর্মিতা (Agreeableness): অন্যদের সাহায্য করা, নম্র থাকা। ৫. মানসিক স্থিতিশীলতা (Neuroticism): চাপ বা উদ্বেগে সহজে ভেঙে পড়া।
ব্যক্তিত্ব কীভাবে গড়ে ওঠে?
- জিন (Genetics): আমাদের বাবা-মায়ের থেকে কিছু বৈশিষ্ট্য পাই। যেমন, কেউ জন্ম থেকেই শান্ত হতে পারে।
- পরিবেশ (Environment): পরিবার, বন্ধু, সংস্কৃতি আমাদের ব্যক্তিত্ব গড়ে। উদাহরণ: শহরে বড় হলে কেউ বেশি স্বাধীন হতে পারে।
- অভিজ্ঞতা: জীবনের ঘটনা, যেমন সাফল্য বা ব্যর্থতা, ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে।
একটি উদাহরণ:
ধরুন, দুই বন্ধু আছে। একজন বহির্মুখী, সে পার্টিতে গিয়ে সবার সাথে কথা বলে। আরেকজন অন্তর্মুখী, সে বই পড়তে বা একা থাকতে পছন্দ করে। এটা তাদের ব্যক্তিত্বের পার্থক্য।
কেন ব্যক্তিত্ব জানা দরকার?
- নিজের ব্যক্তিত্ব বুঝলে আপনি জানবেন কোন কাজ বা পরিবেশ আপনার জন্য ভালো।
- অন্যের ব্যক্তিত্ব বুঝলে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে পারবেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন